Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
নীলাদ্রি
স্থান

সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে শহীদ ‘সিরাজ লেক’কে ‘নীলাদ্রী ডিসি পার্ক’ নামকরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় জনসাধারণ ও মুক্তিযোদ্ধারা।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মেঘালয় পাহাড়ঘেঁষা তাহিরপুর উপজেলায় উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ট্যাকেরঘাটে এ দৃষ্টিনন্দন লেকটির অবস্থান। শুক্রবার বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এর অর্থায়নে ‘নীলাদ্রি ডিসি পার্ক’ নামে এর উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলাাম।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে জেলা ও স্থানীয় পর্যায়ে নামকরণ নিয়ে দেখা যায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এনিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্টজনরা।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ, লেকটির সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতি জড়িত। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এ লেকটির নামকরণ করা হয়েছে একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে। এতদিন গুটি কয়েক পর্যটক লেকটির নাম নীলাদ্রী দিলেও এবার খোদ প্রশাসন লেকটির নাম নীলাদ্রী ডিসি পার্ক নামকরণ করে তাহিরপুরে ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে। লেকটি ২০১৩ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে লেকটি কখনো বাংলার কাশ্মীর, কখনো নিলাদ্রী, কখনো সীমান্ত লেক, কখনো পরিতাক্ত চুনাপাথর কোয়ারী নামে পরিচয় পায় শুধুমাত্র পর্যটকদের কাছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড তাহিরপুর উপজেলার একাধিক স্থানে পর্যটন কেন্দ্র তৈরী করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ট্যাকেরঘাট খনিজ প্রকল্প এলাকায় লেকটির ভাইরাল নাম ‘নীলাদ্রী’র সাথে মিল রেখে ‘নীলাদ্রী ডিসি পার্ক’ নামকরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড।

আনুষ্ঠানিক ভাবে নীলাদ্রী ডিসি পার্ক নামকরণের পর থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সাদেক আলী নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, লেকটির নামকরণ করা হয়েছিল একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে ‘শহীদ সিরাজ লেক’। স্থানীয় কৃষ্টি,সংস্কৃতির সাথে মিল রেখে লেকটির নামকরণ করা হলে তাহিরপুরের ঐতিহ্য বহন করতো। বর্তমানে এই কাল্পনিক নীলাদ্রি নামটি বড় বেমানান। নিজস্ব স্বকীয়তাও ইতিহাস ঠিক রেখে এই লেকটির নাম নামকরণ করা হলে তাহিরপুর তথা সুনামগঞ্জের সুনাম আরো বাড়বে তাহিরপুর উপজেলাও আরো পরিচিতি পাবে।

তাহিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, এ লেকটির সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক স্মৃতি বিজড়িত। একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্পের লেকটির নামকরণ করা হয়েছিল শহীদ সিরাজ লেক। আমরা চাই পার্কটিও শহীদ সিরাজের নামেই হোক।

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, তাহিরপুরের ইতিহাস ঐতিহ্য অনেক প্রাচীন ও সমৃদ্ধ। আমরা চাই তাহিরপুরের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে এই পার্কটির নামকরণ করা হোক।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাবিরুল ইসলাম বলেন, এর আগে এই লেকটির নামকরণের বিষয়ে আমার জানা ছিলনা। উদ্বোধনের সময় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। কেউ আমাকে এই বিষয়টি জানান নি যে এটি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে নামকরণ করা হয়েছিল। আমরা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতে চাই সে চিন্তা থেকেই খনিজ প্রকল্পের পুরো এলাকাটাকে ‘সিরাজ ভ্যালি’ নামে নামকরণ করে দেব।

কিভাবে যাওয়া যায়

সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে শহীদ ‘সিরাজ লেক’কে ‘নীলাদ্রী ডিসি পার্ক’ নামকরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় জনসাধারণ ও মুক্তিযোদ্ধারা।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মেঘালয় পাহাড়ঘেঁষা তাহিরপুর উপজেলায় উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ট্যাকেরঘাটে এ দৃষ্টিনন্দন লেকটির অবস্থান। শুক্রবার বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এর অর্থায়নে ‘নীলাদ্রি ডিসি পার্ক’ নামে এর উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলাাম।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে জেলা ও স্থানীয় পর্যায়ে নামকরণ নিয়ে দেখা যায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এনিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্টজনরা।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ, লেকটির সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতি জড়িত। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এ লেকটির নামকরণ করা হয়েছে একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে। এতদিন গুটি কয়েক পর্যটক লেকটির নাম নীলাদ্রী দিলেও এবার খোদ প্রশাসন লেকটির নাম নীলাদ্রী ডিসি পার্ক নামকরণ করে তাহিরপুরে ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে। লেকটি ২০১৩ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে লেকটি কখনো বাংলার কাশ্মীর, কখনো নিলাদ্রী, কখনো সীমান্ত লেক, কখনো পরিতাক্ত চুনাপাথর কোয়ারী নামে পরিচয় পায় শুধুমাত্র পর্যটকদের কাছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড তাহিরপুর উপজেলার একাধিক স্থানে পর্যটন কেন্দ্র তৈরী করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ট্যাকেরঘাট খনিজ প্রকল্প এলাকায় লেকটির ভাইরাল নাম ‘নীলাদ্রী’র সাথে মিল রেখে ‘নীলাদ্রী ডিসি পার্ক’ নামকরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড।

আনুষ্ঠানিক ভাবে নীলাদ্রী ডিসি পার্ক নামকরণের পর থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সাদেক আলী নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, লেকটির নামকরণ করা হয়েছিল একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে ‘শহীদ সিরাজ লেক’। স্থানীয় কৃষ্টি,সংস্কৃতির সাথে মিল রেখে লেকটির নামকরণ করা হলে তাহিরপুরের ঐতিহ্য বহন করতো। বর্তমানে এই কাল্পনিক নীলাদ্রি নামটি বড় বেমানান। নিজস্ব স্বকীয়তাও ইতিহাস ঠিক রেখে এই লেকটির নাম নামকরণ করা হলে তাহিরপুর তথা সুনামগঞ্জের সুনাম আরো বাড়বে তাহিরপুর উপজেলাও আরো পরিচিতি পাবে।

তাহিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, এ লেকটির সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক স্মৃতি বিজড়িত। একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্পের লেকটির নামকরণ করা হয়েছিল শহীদ সিরাজ লেক। আমরা চাই পার্কটিও শহীদ সিরাজের নামেই হোক।

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, তাহিরপুরের ইতিহাস ঐতিহ্য অনেক প্রাচীন ও সমৃদ্ধ। আমরা চাই তাহিরপুরের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে এই পার্কটির নামকরণ করা হোক।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাবিরুল ইসলাম বলেন, এর আগে এই লেকটির নামকরণের বিষয়ে আমার জানা ছিলনা। উদ্বোধনের সময় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। কেউ আমাকে এই বিষয়টি জানান নি যে এটি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে নামকরণ করা হয়েছিল। আমরা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতে চাই সে চিন্তা থেকেই খনিজ প্রকল্পের পুরো এলাকাটাকে ‘সিরাজ ভ্যালি’ নামে নামকরণ করে দেব।

যোগাযোগ

সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে শহীদ ‘সিরাজ লেক’কে ‘নীলাদ্রী ডিসি পার্ক’ নামকরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় জনসাধারণ ও মুক্তিযোদ্ধারা।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মেঘালয় পাহাড়ঘেঁষা তাহিরপুর উপজেলায় উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ট্যাকেরঘাটে এ দৃষ্টিনন্দন লেকটির অবস্থান। শুক্রবার বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এর অর্থায়নে ‘নীলাদ্রি ডিসি পার্ক’ নামে এর উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলাাম।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে জেলা ও স্থানীয় পর্যায়ে নামকরণ নিয়ে দেখা যায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এনিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্টজনরা।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ, লেকটির সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতি জড়িত। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এ লেকটির নামকরণ করা হয়েছে একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে। এতদিন গুটি কয়েক পর্যটক লেকটির নাম নীলাদ্রী দিলেও এবার খোদ প্রশাসন লেকটির নাম নীলাদ্রী ডিসি পার্ক নামকরণ করে তাহিরপুরে ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে। লেকটি ২০১৩ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে লেকটি কখনো বাংলার কাশ্মীর, কখনো নিলাদ্রী, কখনো সীমান্ত লেক, কখনো পরিতাক্ত চুনাপাথর কোয়ারী নামে পরিচয় পায় শুধুমাত্র পর্যটকদের কাছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড তাহিরপুর উপজেলার একাধিক স্থানে পর্যটন কেন্দ্র তৈরী করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ট্যাকেরঘাট খনিজ প্রকল্প এলাকায় লেকটির ভাইরাল নাম ‘নীলাদ্রী’র সাথে মিল রেখে ‘নীলাদ্রী ডিসি পার্ক’ নামকরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড।

আনুষ্ঠানিক ভাবে নীলাদ্রী ডিসি পার্ক নামকরণের পর থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সাদেক আলী নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, লেকটির নামকরণ করা হয়েছিল একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে ‘শহীদ সিরাজ লেক’। স্থানীয় কৃষ্টি,সংস্কৃতির সাথে মিল রেখে লেকটির নামকরণ করা হলে তাহিরপুরের ঐতিহ্য বহন করতো। বর্তমানে এই কাল্পনিক নীলাদ্রি নামটি বড় বেমানান। নিজস্ব স্বকীয়তাও ইতিহাস ঠিক রেখে এই লেকটির নাম নামকরণ করা হলে তাহিরপুর তথা সুনামগঞ্জের সুনাম আরো বাড়বে তাহিরপুর উপজেলাও আরো পরিচিতি পাবে।

তাহিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, এ লেকটির সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক স্মৃতি বিজড়িত। একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্পের লেকটির নামকরণ করা হয়েছিল শহীদ সিরাজ লেক। আমরা চাই পার্কটিও শহীদ সিরাজের নামেই হোক।

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, তাহিরপুরের ইতিহাস ঐতিহ্য অনেক প্রাচীন ও সমৃদ্ধ। আমরা চাই তাহিরপুরের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে এই পার্কটির নামকরণ করা হোক।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাবিরুল ইসলাম বলেন, এর আগে এই লেকটির নামকরণের বিষয়ে আমার জানা ছিলনা। উদ্বোধনের সময় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। কেউ আমাকে এই বিষয়টি জানান নি যে এটি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে নামকরণ করা হয়েছিল। আমরা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতে চাই সে চিন্তা থেকেই খনিজ প্রকল্পের পুরো এলাকাটাকে ‘সিরাজ ভ্যালি’ নামে নামকরণ করে দেব।

বিস্তারিত

টেকেরঘাটের 'শহীদ সিরাজ লেক' হচ্ছে 'নীলাদ্রি ডিসি পার্ক', ক্ষোভ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়া হাওরতীরবর্তী সীমান্ত এলাকা টেকেরঘাটে পর্যটকদের জন্য পার্ক নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ... পরবর্তীতে শহীদ সিরাজুল ইসলাম বীর বিক্রম-এর নামে এখানকার হ্রদের নামকরণ করা হয় 'সিরাজ লেক

 

সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে শহীদ ‘সিরাজ লেক’কে ‘নীলাদ্রী ডিসি পার্ক’ নামকরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় জনসাধারণ ও মুক্তিযোদ্ধারা।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মেঘালয় পাহাড়ঘেঁষা তাহিরপুর উপজেলায় উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ট্যাকেরঘাটে এ দৃষ্টিনন্দন লেকটির অবস্থান। শুক্রবার বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এর অর্থায়নে ‘নীলাদ্রি ডিসি পার্ক’ নামে এর উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলাাম।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে জেলা ও স্থানীয় পর্যায়ে নামকরণ নিয়ে দেখা যায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এনিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্টজনরা।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ, লেকটির সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতি জড়িত। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এ লেকটির নামকরণ করা হয়েছে একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে। এতদিন গুটি কয়েক পর্যটক লেকটির নাম নীলাদ্রী দিলেও এবার খোদ প্রশাসন লেকটির নাম নীলাদ্রী ডিসি পার্ক নামকরণ করে তাহিরপুরে ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে। লেকটি ২০১৩ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে লেকটি কখনো বাংলার কাশ্মীর, কখনো নিলাদ্রী, কখনো সীমান্ত লেক, কখনো পরিতাক্ত চুনাপাথর কোয়ারী নামে পরিচয় পায় শুধুমাত্র পর্যটকদের কাছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড তাহিরপুর উপজেলার একাধিক স্থানে পর্যটন কেন্দ্র তৈরী করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ট্যাকেরঘাট খনিজ প্রকল্প এলাকায় লেকটির ভাইরাল নাম ‘নীলাদ্রী’র সাথে মিল রেখে ‘নীলাদ্রী ডিসি পার্ক’ নামকরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড।

আনুষ্ঠানিক ভাবে নীলাদ্রী ডিসি পার্ক নামকরণের পর থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সাদেক আলী নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, লেকটির নামকরণ করা হয়েছিল একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে ‘শহীদ সিরাজ লেক’। স্থানীয় কৃষ্টি,সংস্কৃতির সাথে মিল রেখে লেকটির নামকরণ করা হলে তাহিরপুরের ঐতিহ্য বহন করতো। বর্তমানে এই কাল্পনিক নীলাদ্রি নামটি বড় বেমানান। নিজস্ব স্বকীয়তাও ইতিহাস ঠিক রেখে এই লেকটির নাম নামকরণ করা হলে তাহিরপুর তথা সুনামগঞ্জের সুনাম আরো বাড়বে তাহিরপুর উপজেলাও আরো পরিচিতি পাবে।

তাহিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, এ লেকটির সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক স্মৃতি বিজড়িত। একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্পের লেকটির নামকরণ করা হয়েছিল শহীদ সিরাজ লেক। আমরা চাই পার্কটিও শহীদ সিরাজের নামেই হোক।

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, তাহিরপুরের ইতিহাস ঐতিহ্য অনেক প্রাচীন ও সমৃদ্ধ। আমরা চাই তাহিরপুরের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে এই পার্কটির নামকরণ করা হোক।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাবিরুল ইসলাম বলেন, এর আগে এই লেকটির নামকরণের বিষয়ে আমার জানা ছিলনা। উদ্বোধনের সময় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। কেউ আমাকে এই বিষয়টি জানান নি যে এটি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে নামকরণ করা হয়েছিল। আমরা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতে চাই সে চিন্তা থেকেই খনিজ প্রকল্পের পুরো এলাকাটাকে ‘সিরাজ ভ্যালি’ নামে নামকরণ করে দেব।